চীনকে টক্কর দিতে এবার ড্রোন হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিল তাইওয়ান। চীনের তুলনায় নিতান্তই ক্ষুদ্র এ দ্বীপরাষ্ট্র। শনিবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনকে ঠেকাতে বিশেষ ড্রোন প্রোগ্রাম চালু করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। ইউক্রেনের রাশিয়ায় ড্রোন হামলা থেকে এ অনুপ্রেরণা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন তার ডেমোক্রেটিক প্রগেসিভ পার্টির শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে শুক্রবার একটি বৈঠকে বসেন। সেখানে ৭৭ পৃষ্ঠার ব্রিফিং রিপোর্টে মূল আলোচনার বিষয় ছিল ‘ড্রোন’। রিপোর্টটিতে চীনের তুলনায় তাইওয়ানের ড্রোনের সীমাবদ্ধতার বিষয়টি উঠে এসেছে।
তাইওয়ানের কাছে বর্তমানে চার ধরনের ড্রোন রয়েছে। অন্যদিকে চীনের সামরিক বাহিনী, পিপলস লিবারেশন আর্মির কাছে ৫০টিরও বেশি বিভিন্ন ধরনের ড্রোন রয়েছে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সে ড্রোনগুলো জেট চালিত এবং দূরপাল্লার নজরদারিতে সক্ষম। চীনের সঙ্গে বৈসাদৃশ্য কমাতে তাইওয়ানের ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ প্রয়োজন। ‘ড্রোন ন্যাশনাল টিম’র অধীনে তাইওয়ান একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ড্রোন প্রোগ্রাম চালুর মিশনে রয়েছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় বাণিজ্যিকভাবে ড্রোন নির্মাণ, বিমান চলাচল এবং মহাকাশ সংস্থাগুলোকে একত্রীকরণ করা হচ্ছে।
তাইওয়ানের সরকারি পরিকল্পনা নথি অনুসারে, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি ৩২০০টিরও বেশি সামরিক ড্রোন তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে মহাকাশ উদ্যোক্তা ম্যাক্স লো একটি সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমাদের হাজার হাজার ড্রোন দ্রুত তৈরি করতে হবে।
আমরা সামরিকভাবে ব্যবহারের জন্য এবং বাণিজ্যিকভাবেও ড্রোন আধুনিকীকরণের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। আমরা আশা করি, আমাদের বিদ্যমান প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে দ্রুত আমাদের সক্ষমতা গড়ে তুলব যাতে আমরা ইউক্রেনের মতো হতে পারি।’
দেশটির থান্ডার টাইগার গ্রুপ, বাণিজ্যিকভাবে রেডিও-নিয়ন্ত্রিত মডেলের উড়োজাহাজ তৈরির জন্য বিখ্যাত। থান্ডার টাইগারের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান হক ইয়াং রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমাদের ফার্ম এখন তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীর জন্য ড্রোন তৈরি করছে, যার মধ্যে রয়েছে চার মিটার লম্বা রোটারসহ স্থলভিত্তিক নজরদারি হেলিকপ্টার। ড্রোনগুলোর পরিসীমা ৪০০ কিলোমিটার এবং এগুলো ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত আকাশে থাকতে পারে।’ এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট সাই ইংয়ের অফিস থেকে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তাইওয়ানকে ‘মহান অনুপ্রেরণা দিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে, সমগ্র বিশ্ব ড্রোনের গুরুত্ব দেখেছে।’