ফারুক আহমেদ সূর্য স্টাফ রিপোর্টারঃ লালমনিরহাট
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারিদের ইন্টার্ন ভাতা প্রদানের দাবীতে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে লালমনিরহাট নার্সিং কলেজ ইন্টার্ন নার্স এবং ইন্টার্ন মিডওয়াইফারিবৃন্দ ( সেশন ২০১৯-২০) এর ডাকে এ কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়।
রবিবার (০১ অক্টোবর) সকালে লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ইন্টার্ন নার্স ও নার্সিং কলেজের ২০১৯-২০ সেশন ডিপ্লোমা সাইন্স মিডওয়াইফারির ছাত্র শিহাব উদ্দিন কর্মবিরতি ঘোষণা বক্তব্যে বলেন গত আগস্ট থেকে ইন্টার্নি শুরু করি, আমাদের ইন্টারনিশিপ এর মেয়াদ হলো ছয় মাস।আমাদের ইন্টারর্নিশিপের ১৪ নাম্বার কোড অব কন্টাক্টে লেখা আছে যে আমরা ইনটারনিশিপের ভাতা পাবো। প্রত্যেক মাসে ছয় হাজার করে টাকা পাবো। কিন্তু আমাদের একটা ব্যাজ যারা ইন্টারনিশিপ করেছে ২০১৮-১৯ ব্যাজ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল যে তাদের ইন্টার্নিশিপ ভাতা প্রদান করা হবে সেটা হয় নাই। বিগত দুই মাস অলরেডি পার হয়ে গেছে তারপরেও আমাদেরকে আজ অব্দি কোনও ভাতা দেয়া হয় নাই, বা এটা নিয়ে কোনও আশ্বাসও পাই নাই। আমরা এর আগে আমাদের নার্সিং কলেজের মাধ্যমে আমাদের ডিজিএনএম ও বিএনএমসিকে কাগজ পাঠিয়েছি তারা শুধু সেখান থেকে বলছে যে এটি নিয়ে কাজ করছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও এর সমাধান হয় নাই। আমরা এই কারণেই বাধ্য হয়ে আমাদের ন্যায্য দাবী আদায়ে এই ভাতা চাই। শিহাব আরও বলেন আমাদের পুরো খরচ নিজের বাসা থেকে বহন করতে হচ্ছে। আবার এটি করতে বাসা ভাড়াও দিতে হয়। যেহেতু আমাদের কোড অব কন্ট্রাক্ট ১৪ নম্বর পয়েন্টে লেখা আছে আমাদেরকে ইন্টার্ন করা বাবদ প্রত্যেক মাসে ছয় হাজার করে টাকা দেয়া হবে। যেটা আমাদের অধিকার। তাহলে কেন? আমাদের এই অধিকারটিকে হরণ করা হচ্ছে। তাই আজ হসপিটালের ডিউটি ছেড়ে আজকে আমাদেরকে বাধ্য হয়েই এই কর্মবিরতি আন্দোলনে নামতে হয়েছে এটি খুবই দুঃখজনক এবং লজ্জাকর।
এসময় লালমনিরহাট নার্সিং কলেজের ২০১৯-২০ সেশনের ডিপ্লোমা সাইন্স মিডওয়াইফারির মোছা মিথিলা ইসলাম ফিজা, বীথী আক্তার, মোছা মারুফা বেগম মাহফুজা, মোছা আইরিনসহ দুই গ্রুপের ৭৫ জন ইন্টার্নি উপস্থিত ছিলেন।